লাল মাকড় খুবই অনিষ্টকারী। আকারে অতি ক্ষুদ্র। দেখতে গাঢ় পিঙ্গল/লাল। অর্ধগোলাকার। পরিণত পাতার উপর ও নীচ থেকে আক্রমণ করে থাকে। পাতার উপরিভাগের মধ্যশিরা ও উপশিরা সংলগ্ন ফলকে প্রচুর ডিম পাড়ে। শস্য মৌসুমে বাচ্চা ফুটে ৪-৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ মাকড়ে পরিণত হয়। ছায়াবিহীন ও গরম আবহাওয়াতে এরা দ্রুত বংশবিস্তার করে। সারা বছরই কমবেশি এর চা আবাদিতে থাকে এবং পাতার রস চুষে খায়। আঙ্গুলের মধ্যে চাপ দিলেই এদের অস্তিত্ব বুঝা যায়। এদের আক্রমণে পাতা বিবর্ণ হয়ে কালচে রং ধারণ করে। দূর থেকে মনে হয় পাতা আগুণে পুড়ে গেছে। এরা গাছের খুব ক্ষতি করে। আক্রমণের তীব্রতায় পাতা পুড়ে যায় এবং নতুন পাতা গজানো বন্ধ হয়ে যায়।
২।হলুদ মাকড়:
এরা লালমাকড়ের মতো ক্ষুদ্র। এরা পাতার নীচে বিশেষত: মধ্য শিরা ও শিরার মাঝের স্হানে, পত্র-বৃন্ত, ও কচি কাণ্ডে আক্রমণ করে। অধিক আক্রমণে শিরা বা তার মধ্যবর্তী স্হান কালো হয়ে যায় এবং পাতা ঝরে পড়ে।
৩।বেগুনী মাকড়:
এরা লাটিম আকৃতির ছোট, গাঢ় বেগুনী রঙের। এরা বয়স্ক পাতার উপরিভাগে আক্রমণ করে। পাতার কিনারা বরাবর গাঢ় বেগুনী রঙ ধারণ করে। আক্রমণ বেশি হলে পাতা অকালে ঝরে যায় এবং গাছের উৎপাদন ক্ষমতা ব্যাহত হয়।
৪।পটল মাকড়:
খুব ছোট এবং এরা পটল/কমলা লেবু রঙের। ইহার আক্রমণে গাছের কচি পাতা হলুদবর্ণ ও ফ্যাকাশে হয়। পাতার নিচের শিরা ও পাতার কিনারা পীত/পটলবর্ণ ধারণ করে। এদের আক্রমণে গাছ দূর্বল হয় এবং গাছের বৃদ্ধি বাধা পায়।

Previous Article
Post a Comment