কয়েক বছর আগেও পাম উইভিলের সঙ্গে পরিচয় ছিল না ইতালির। দেশটির গবেষকরা বলছেন, বছর পাঁচেক আগে আফ্রিকার উত্তরাঞ্চল থেকে এ পোকা ইতালিতে ছড়িয়েছে।
তাঁদের মতে, প্রায় তিন ইঞ্চি লম্বা এ পোকাটির মূল আবাস মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার গহিন জঙ্গল। ১৯৯০-র দশকে আমদানি করা কাঠের সঙ্গে এই পোকা মধ্যপ্রাচ্যে আসে। পরে এটি ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে। খেঁজুরগাছের মাধ্যমে আফ্রিকায় ছড়ালেও পাম উইভিলের প্রথম পছন্দ পামগাছ। ইতালিতে এ গাছের সন্ধান পেয়ে দ্রুত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে পোকাটি। পরিস্থিতি এমন যে, এ পোকা প্রতিরোধে ইতালিতে জাতীয়ভাবে জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা।
পাম উইভিলের আক্রমণে হাজার হাজার গাছ মরে গেলেও ওই পোকা প্রতিরোধের কার্যকর উপায় পাচ্ছেন না গবেষকরা। কারণ গাছে এ পোকার অবস্থান শনাক্ত করা যায় না।
ফ্লোরেন্সের কৃষি গবেষণা বিভাগের কর্মকর্তা পিও ফেদেরিকো বলেন, 'আপনি বুঝতেই পারবেন না, কোন গাছে ওরা আক্রমণ করেছে। গাছের একেবারে ভেতরের অংশ থেকে খেতে শুরু করে ওরা। ফলে যখন ওদের উপস্থিতি টের পাবেন, তখন গাছের ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যায়।' কিছু গবেষক পোকাটি প্রতিরোধে কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়েও বিপত্তি আছে। পিও ফেদেরিকো যেমন বললেন, 'জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই পার্কের গাছে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বাধ্য আমরা।'
Post a Comment