ফারহানা মাহমুদ তন্বী
মাংসাশী পিঁপড়া
3:18 AM
Posted by
রেজওয়ান
পিঁপড়ার একমাত্র আহার্য মাংস কল্পনা করা যায়? অবিশ্বাস্য হলেও এক ধরনের ভয়ঙ্কর পিঁপড়ার অস্তিত্ব দেখা যায় আফ্রিকায়, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার গভীর জঙ্গলে। তারা যাযাবর জাতীয় প্রাণী। এক জায়গায় দীর্ঘদিন থাকা যেন তাদের প্রকৃতিবিরুদ্ধ। আসলে কোনো এক জায়গায় কিছুদিন থাকার পর খাদ্যাভাব দেখা দিলে লাখ লাখ পিঁপড়া মিছিল করে চলে অন্য কোথাও। মাইলের পর মাইল জায়গাজুড়ে তারা খাদ্যান্বেষণের অভিযান চালায়। তখন কোনো জন্তু-জানোয়ার বা মানুষ তাদের বাহিনীর সামনে পড়লে আর রেহাই নেই, মৃত্যু অবধারিত! মানুষ বাঘ বা হাতি সবই তাদের কাছে সমান। কাউকেই পরোয়া করে না। সাঁড়াশির নখ চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে এমন আক্রমণ চালায় তখন অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। তারপর শিকার করা মানুষ বা জানোয়ারের মাংস মহা আনন্দে খেয়ে যাবে। হাড় কয়টা ছাড়া রক্ত-মাংস-মজ্জা এমনকি চামড়া পর্যন্ত উদরস্থ করে তবেই ছাড়ে রাক্ষুসে পিঁপড়ার দল। এমন ভয়ঙ্কর প্রকৃতির পিঁপড়ের আক্রমণ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য আজকের বিজ্ঞানের যুগের মানুষও হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। কোনো বুদ্ধি বা কৌশলই তাদের কাছে খাটছে না। কামান, বন্দুক বা যে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র এদের বিরুদ্ধে অচল। আগুন জ্বেলে দিলে হতচ্ছাড়া পিঁপড়াগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে আগুনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আগুনকে দেয় নিভিয়ে। পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লেও রেহাই নেই। সাঁতার কেটে চলে যায় শিকারের কাছে। রাক্ষুসে পিঁপড়াগুলোকে দেখা মাত্র জঙ্গলের হাতি, গণ্ডার, জিরাফ, হায়েনা, এমন কি বাঘ বা সিংহ পর্যন্ত লেজ তুলে উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটতে শুরু করে।
ফারহানা মাহমুদ তন্বী
ফারহানা মাহমুদ তন্বী
Subscribe to:
Post Comments (Atom)

Previous Article

বা বা বেশ বেশ
April 3, 2012 at 11:58 AM
Post a Comment